দেশব্যাপী আট (০৮) টি জেলাতে প্রায় ১,০০০ একর নিজস্ব ও লীজ নেয়া জমিতে আমাদের রয়েছে প্রায় ৩০০ একর পুকুর, ৫৫০ একর ফল ও বিশেষায়িত সব্জি বাগান এবং প্রায় ১৫০ একর হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল ও গাড়োল এর খামার। এছাড়া আমরা দেশব্যাপী ২১টি জেলাতে চুক্তিবদ্ধ কৃষক ও খামারির সাথে জড়িত যারা আমাদের বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা ও পরামর্শ মতে সর্বোচ্চ মানের কৃষি পণ্য উৎপাদন করছে। আমাদের বিশেষজ্ঞ মন্ডলীর মাঝে আছেন কৃষিতে ২ জন, মৎস উন্নয়নে ৩ জন এবং প্রাণী সম্পদে ১ জন পি.এইচ.ডি. হোল্ডার, ৭ জন মাস্টার্স ডিগ্রী হোল্ডার এবং তাদের তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ৩০ জনের বেশি স্নাতক ডিগ্রীধারী অত্যন্ত চৌকষ ও কর্মঠ অফিসারগণ।
একাধিক ওয়েদার কন্ট্রোলড ও সেমি ওয়েদার কন্ট্রোলড গ্রিন হাউস, আকুয়াপনিক সেটআপ এবং হাইড্রোপনিক সেটআপ এর মধ্যে চলছে আমাদের প্রযুক্তি নির্ভর চাষাবাদের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম। আমরা অত্যন্ত নিশ্চিত খুব নিকট ভবিষ্যতের বাংলাদেশের হাই ভ্যালু ক্রপ / উচ্চ মূল্য কৃষি পণ্য সমূহের জন্য আমাদের এই সব কার্যক্রম গুলা ভিত্তি প্রস্তর হয়ে থাকবে। এছাড়াও প্রযুক্তি নির্ভর এই সব নিজস্ব চাষাবাদ কেন্দ্রগুলা পরিচালনার বাইরে এই ধরনের চাষাবাদে আগ্রহী সকল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহকে আমরা সকল যন্ত্রপাতি, প্রযুক্তি ও দৈনন্দিন রশদপত্র সরবরাহ এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করি।
চট্টগ্রাম, খুলনা, বগুড়া ও সিলেট জোনে আমাদের চারটি আন্তর্জাতিক মানের সম্পূর্ণ অটোম্যাটিক মাছ ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের প্রতিটি কারখানা সংশ্লিষ্ট সকল অধিদপ্তরের ও বি এস টি আই এর প্রতিটি নিয়মনীতি অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। প্রতিটি পণ্য বি এস টি আই এর অনুমোদন প্রাপ্যতা সাপেক্ষেই বাজারজাত করা হবে। ভৌগলিকভাবে কৌশলগত অবস্থানে পরিকল্পিত এই কারখানাগুলো সমগ্র বাংলা দেশে র প্রান্তিক খামারীদের সহজতর বিক্রির ব্যবস্থা এবং অধিকতর মূল্য প্রদানের মাধ্যমে তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের পাশাপাশি আরো ভাল মানের ও অধিকতর পণ্য উৎপাদনে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা আশাবাদী আমাদের এই কারখানাগুলো থেকে উৎপাদিত পণ্যসমূহ দেশীয় চাহিদা পুরন করে বিদেশে পণ্য রপ্তানিতে সক্ষম হবে।
আমাদের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের শুরু থেকেই ঢাকা, হবিগঞ্জ, ময়মনসিংহ, ফেনী, বগুড়া, নীলফামারী, মাগুরা, বরিশাল ও সাতকানিয়া – এই নয়টি অবস্থানে আন্তর্জাতিক মানের যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিত নয়টি ফল ও শব্জি প্রক্রিয়াকরণ কারখানা তাদের কার্যক্রমে নিয়জিত থাকবে। বলাই বাহুল্য, প্রতিটি কারখানাই সকল অধিদপ্তরের ও বি এস টি আই এর প্রতিটি নিয়মনীতি অনুসরণ করে পরিচালিত হবে। প্রতিটি পণ্য বি এস টি আই এর অনুমোদন সাপেক্ষেই বাজারজাত করা হবে। সুপরিকল্পিত ভৌগোলিক অবস্থানে স্থাপিত এই প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানাগুলোর জন্য আমারা সিস্টেম লস বাচাতে পারব ৭০% ও বেশি এবং একই সাথে নিশ্চিত করতে পারবো দেশের এক প্রান্তের পণ্য অন্য প্রান্তে সতেজ ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে।
আমরা ২০১১ সাল থেকে আই টি, টেলিকমুনিকেসন, নেটওয়ার্কিং ও স্পেশালিজেড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোজেক্ট সমূহের পণ্য আমদানী, রপ্তানী ও ট্রেডিং এর সাথে জড়িত। বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি ছারাও আমাদের গ্রাহক তালিকায় আছে বি টি সি এল, বি টি আর সি, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ পুলিশ এর মত বিভিন্ন সংবেদনশীল সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাদ্বারা এই সব প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে সম্পন্নকৃত প্রোজেক্টগুলোই আমাদের কাজের সার্থকতার নিদর্শন।
বাংলাদেশের ডিজিটাল গন-বিস্ফোরণের প্রারম্ভ থেকেই আমরা অত্যন্ত সফলতার সাথে প্রান্তিক গ্রাহক, কর্পোরেট ও বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছি। আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহ এবং তাদের মুল ব্যক্তিবর্গগন ১৯৯৫ সাল থেকে বাংলাদেশের ইন্টারনেট পদচারণার কার্যক্রমের সাথে জড়িত এবং ২০০৯ সাল থেকে পল্লবী বিজনেস সার্ভিসেস একটি লাইসেন্সেড ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার প্রতিষ্ঠান।
আমাদের সহ-মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান জেইন ইন্টারন্যাশনাল মেডিক্যাল এন্ড সার্জিকাল এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট লিমিটেড এর সাথে মিলে আমরা টেলিকম ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করছি ২০১৯ সাল থেকে। বর্তমান যুগের আধুনিক রোগ নির্ণায়ক যন্ত্রপাতি সহজে ও সুলভে অপেক্ষাকৃত নিম্ন আয়ের মানুষের আওতার মধ্যে নিয়ে আসতে পারার জন্য আমরা টেলিকম নেটওয়ার্ক বেসড ই সি জি, বায়োমেট্রিক প্রেসার মনিটরিং ডিভাইজ, নন-ইনভেসিভ ব্লাড সুগার মনিটর ইত্যাদি টেকনোলজি “পারসনাল হার্ডওয়্যার এস রেন্টেড সার্ভিস” মডেলে বাংলাদেশে নিয়ে আসি।
সকল ধরনের ব্যাবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং এন.জি.ও. দের লাইসেন্সড ও অনুমোদিত বাল্ক এস এম এস সেবা প্রদানের লক্ষে আমাদের এস এম এস এগ্রিগেটর লাইসেন্সের আবেদন প্রক্রিয়াধীন আছে। লাইসেন্স পাওয়া মাত্রই আমাদের এই কার্যক্রম শুরু হবে।
২০১৭ সাল থেকে আমাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এনডিউরিং এনার্জি লিমিটেড ও স্কলার্স পাওয়ার লিমিটেড এর হাত ধরে আমাদের নবায়নযোগ্য শক্তি প্রজেক্টসমূহ স্থাপনার কাজকর্মের পদযাত্রা শুরু হয়। আমরাই প্রথম বাংলাদেশে এস আর এফ ও আর ডি এফ পণ্যের পরিচিতিকারী। এরই মধ্যে আমরা একটি ওয়েস্ট-টু-এনার্জি সলিড রিকভার্ড ফুয়েল প্রোডাকশন প্ল্যান্ট এর লাইসেন্স অর্জন করেছি যেখানে প্রতিদিন ৩০০ টন পৌরবর্জ্য ১৪০ টন কয়লার বিকল্প নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে রূপান্তরিত হবে। বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক জটিলতার কারণে আমাদের এই প্রকল্প একটু ধীর গতিতে অগ্রসর হলেও আমরা দৃঢ় বিশ্বাসী বাংলাদেশের পৌরবর্জ্য পরিবেশবান্ধব উপায়ে বিনষ্টিকরণে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন নিয়ে আসবে যা গোটা বিশ্বে বাংলাদেশকে একটা ক্লিন এন্ড গ্রীন দেশের খাতায় নাম লেখাবে।
চিরাচরিত প্রজেক্ট সমূহের বাইরে স্পেশালাইজড ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্ট সমূহের এ-টু-জেড কন্সালটেন্সি সেবা আমাদের অন্যতম প্রধান দক্ষতার স্থান। টেকনিকাল, ফাইনান্সিয়াল, এনভায়রনমেন্টাল, সোশ্যাল ফিজিবিলিটি স্টাডি, বিজনেস মডেলিং, টেকনিকাল ডকুমেন্টেশন তৈরীকরণ, প্রজেক্ট সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের ফলোয়াপ, সকল প্রয়োজনীয় লাইসেন্স - পারমিট আহরণ, স্কিলড, নন-স্কিলড ও বিশেষজ্ঞ লোকবল জোগাড় করে দেয়া, লোকাল - ইন্টারন্যাশনাল পণ্য ও যন্ত্রপাতি জোগাড় করে দেয়া, ইরেকশন ও কমিশনিং এর সহায়তা এবং অপারেশন, মেইনটেনেন্স ও সেলস প্রসেসে সহযোগী হিসেবে কাজ করা আমাদের কর্মপরিধির আওতাধীন। আমাদের এমন কিছু সফল কাজের উদাহরণ হলো নেক্সটজেন নেটওয়ার্কস লিমিটেড, গেটকো টেলিকমিউনিকেশনস লিমিটেড (আই সি এক্স), নেক্সটজেন এগ্রিটেক লিমিটেড, সিরাজগঞ্জ ইকো-এনার্জি লিমিটেড, ইত্যাদি।